পরিবার পরিকল্পনা হল সঠিক সময় সন্তান নেবার পরিকল্পনা[১] এবং জন্ম নিয়ন্ত্রন [২] ও অন্যান্য পদ্ধতির যথাযত প্রয়োগ নিশ্চিতকরন। অন্যান্য পদ্ধতির মধ্যে যৌন শিক্ষা, যৌন সংক্রামকসমুহের নির্গমন প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা। পরিবার পরিকল্পনাকে অনেক সময় জন্ম নিয়ন্ত্রনের সমার্থক হিসেবে চিহ্ণিত করা হয় যদিও পরিবার পরিকল্পনার পরিধি আরও বিশদ। এটা সাধারণত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে করা হয় যারা তাদের সন্তান সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত রাখতে চায় এবং তাদের প্রত্যাশিত সময় গর্ভধারন করতে চায়।
পরিবার পরিকল্পনা সেবা বলতে শিক্ষাগত, ব্যাপক স্বাস্থ্য ও সামাজিক কমসূচীকে বোঝায় যার মাধ্যমে প্রত্যেকটি স্বতন্ত্র ব্যক্তি তাদের সন্তান সংখ্যা ও দুই সন্তানের ব্যবধান সম্পর্কে স্বাধীনভাবে সিধান্ত নেবার যোগ্যতা অর্জন করে।[৩]
সন্তান সংখ্যা বৃদ্ধি মাধ্যমে সময়, সামাজিক,অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়। পরিবার পরিকল্পনার গ্রহণ করায় এসকল সম্পদের সার্থক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়। বাংলাদেশের তথা সারা বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পৃথিবীকে বসবাসের অনুপোযোগী এবং সমস্যা সংকূল করে তুলছে। তাই সংখ্যা বৃদ্ধি রোধ অথবা পরিমিত সন্তান জন্ম দান করে পৃথিবীর ভারসাম্য আনায়নে পরিপার পরিকল্পনা আবশ্যক।
মায়ের বয়স অন্তত ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করলে সন্তানের স্বাস্থ্য ও মাতৃস্বাস্থ্য ভাল থাকে। মাতৃত্ব সংক্রান্ত মৃত্যুর হার কমে আসে এবং পরিকল্পিত সন্তান বেশি মেধাবী ও স্বাস্থ্যবান হয়ে থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস