Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
কানাই কাশিম্বী জামে মসজিদ
label.image.title
প্রতিষ্ঠানের ধরণ
মসজিদ
প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম

পদবি

মোবাইল

ঠিকানা
ধামইরহাট উপজেলা হতে ভ্যান , বাই সাইকেল সহ অন্যান যানবাহনে চলাচল করা যায়
ইতিহাস
<p>'মসজিদ' শব্দের অর্থ সেজদা করার স্থান। শরীয়তের অর্থে, নামাজ প্রভৃতি এবাদতের জন্য চিহ্নিত স্থান। যার জন্য ওয়াকফ শর্ত।<br><br> নামাজ যে কোনো পাক জায়গায়ই পড়া যায়। তবে মসজিদে নামাজ পড়ার সওয়াব অত্যাধিক। পাঞ্জেগানা মসজিদে এক রাকায়াত বাইরে ২৫ রাকাত, জুমআর মসজিদে এক রাকায়াতে বাইরে ৫ শত রাকায়াতের, মসজিদে আকসা ও মসজিদে নববীর এক রাকায়াত ৫০ হাজার রাকায়াতের এবং মসজিদুল হারামের এক রাকায়াত বাইরে এক লাখ রাকায়াত নামাজের সমান। তাহলে এতেই বুঝা যায় যে, মসজিদে নামাজ পড়লে কি সওয়াব এবং মসজিদ ছাড়া অন্যত্র নামাজ পড়লে কি সওয়াব আর গাফেল ছাড়া এ অবহেলা কেউই করে না।<br><br> মসজিদ হচ্ছে নামাজের জন্য চিহ্নিত স্থান। দেয়াল ও ছাদ ইহার জন্য শর্ত নয়। মসজিদের জন্য 'ইযনে আম' বা এবাদতের জন্য সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার শর্ত। ইহা না হলে মসজিদ হবে না। ওয়াকফ্ ও ইযনে আমের সাথে একবার জামায়াতের সাথে নামাজ পড়া হয়ে গেলেই উহা মসজিদে পরিণত হবে।<br><br> মসজিদ নির্মাণ ও উহার আবাদ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনুল কারীমে মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, 'নিশ্চয় আল্লাহর (ঘর) মসজিদ সমূহকে আবাদ করে সে-ই, যে বিশ্বাস করে আল্লাহ্ ও পরকালে এবং নামাজ কায়েম করে ও যাকাত আদায় করে।' (সূরা তওবা, আয়াত-১৮)। উক্ত আয়াতের আলোকে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, মসজিদ আবাদ করবে ঈমানদারগণ। আর ঈমানদার তারাই যারা আল্লাহকে বিশ্বাস করে, পরকালকে বিশ্বাস করে, নবী-রাসূল, আসমানী কিতাব, ফেরেস্তাকূল, তাকদীরের প্রতি বিশ্বাস রাখে। ঈমানের তিনটি বিষয় হলো-<br><br> (১) অন্তরে বিশ্বাস (২) মৌখিক স্বীকৃতি (৩) আমলে পরিণত করা। এ তিনটির সমন্বয়েই হলো ঈমানদার। ঈমানদারের মাঝে তারাই মহান আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়, যারা অত্যাধিক তাকওয়াবান।<br><br> তাহলে সে হিসেবের আলোকে মসজিদ সমূহ তাকওয়াবান ঈমানদাগণই আবাদ করবে। অথচ বর্তমান প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, যারা সমাজে প্রভাবশালী, ধন-দৌলত যাদের বেশি, যারা সমাজের মেম্বার, চেয়ারম্যান বা মাতব্বর তারাই মসজিদের সভাপতি, সেক্রেটারী বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত। আর এর দ্বারা মসজিদগুলোতে দ্বীনের দাওয়াতি কাজ, দ্বীনি জলছা সহ নানাবিধ কাজে শরীয়তের কোনো ভ্রূক্ষেপ না করে তাদের মনগড়া হিসেবে পরিচালিত করছে। আর তাদের দাপটের কারণে একদিকে যেমন ইমাম সাহেবগণ তাদের প্রয়োজন অনুপাতে সম্মানী পাচ্ছে না তেমনিভাবে ইমাম সাহেবগণ সত্যকথা বলতেও দ্বিধাবোধ করছে। অনেকে বলতে গেলে চাকুরি পর্যন্ত বাতিল হয়ে যায়। তাই মসজিদের মোতাওয়ালি্ল হওয়া চাই তাকওয়াবান।<br><br> মসজিদ নির্মাণ ও উহার ফজিলত বিষয়ক হাদিসের দিকে লক্ষ্য করলে উহার গুরুত্ব আরো অনুধাবন করা সম্ভব। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, যে সকাল-বিকাল মসজিদে যাবে, আল্লাহ্ তায়ালা তার জন্য তার প্রত্যেকবারের পরিবর্তে বেহেশতে একখানা মেহমানী প্রস্তুত করে রাখবেন, যত যত সকাল বিকাল সে যাবে। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)<br><br> হযরত ওসমান (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে একটি মসজিদ নির্মাণ করবে আল্লাহ্ তার জন্য বেহেশতে একটি ঘর নির্মাণ করবেন। (বুখারী ও মুসলিম শরীফ)<br><br> হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, স্থান সমূহের মধ্যে সর্বাপেক্ষা প্রিয় স্থান হলো আল্লাহর নিকট মসজিদ সমূহ এবং সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য স্থান হলো বাজারসমূহ। (মুসলিম শরীফ)<br><br> হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) মহল্লায় মহল্লায় মসজিদ নির্মাণ করতে এবং মসজিদকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ও উহাতে সুগন্ধি লাগাতে নির্দেশ দিয়েছেন। (আবু দাউদ, তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)<br><br> এ হাদিসে মহল্লায় মহল্লায় বলতে যেখানে লোকের সমাগম রয়েছে ওইখানে উদ্দেশ্য।<br><br> হযরত আনাস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের আলামত সমূহের মধ্যে একটি হচ্ছে, মানুষ পরস্পরে মসজিদ নিয়ে গর্ব করবে। (আবু দাউদ, নাসায়ী, দারেমী ও ইবনে মাজাহ)<br><br> হযরত হাসান বসরী মুরসাল হিসাবে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেছেন, মানুষের পক্ষে এমন এক যমানা আসবে, যখন মসজিদে তাদের আলোচনা হবে দুনিয়াদারীর বিষয় সম্পর্কে। সুতরাং তাদের সঙ্গে বসিওনা, তাদের সাথে আল্লাহ্ তায়ালার কোনো আবশ্যকতা নেই। (বায়হাকী শুয়ারুল ঈমান)<br><br> এ সকল হাদিস ছাড়াও আরো বহু হাদিস শরীফে মসজিদ নির্মাণ ও উহার ফজিলত, মসজিদের আদব সহ নানাবিধ ফজিলত, মসজিদের আদব সহ নানাবিধ বিষয়ের আলোচনা রয়েছে। যে দুনিয়ায় মসজিদ নির্মাণ করবে, আল্লাহ্ তায়ালা তার জন্য বেহেশতে একখানা ঘর নির্মাণ করবেন। যারা নিয়মিত মসজিদে যাবে তাদের ঈমান আছে বলে সাক্ষ্য দেয়া। মসজিদের সাথে সদা মন লটকানো রাখা। মসজিদের আদব রক্ষা করা। মসজিদে দুনিয়াবী কথা না বলা। মসজিদ নিয়ে গর্ব না করা। এ সকল বিষয় মেনে চলে আমাদের জীবনে মসজিদের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও মসজিদের তত্ত্বাবধান যথাযথভাবে করার জন্য আল্লাহ্ তায়ালার সাহায্য কামনা করা কর্তব্য।</p>